জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুরে জায়গা দখল করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন ৪জন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়েছেন। এসময় দেশীয় অস্ত্র বটি দা, ছোরা উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়- প্রায় ২ বছর আগে উপজেলার ফেরীঘাট এলাকায় জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ২ বারের সভাপতি, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুখলিছুর রহমান দৌলা কে পরিকল্পিত ভাবে রাতের অন্ধকারে ব্রিজের উপর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরথেকে জায়গাটির দখল নিতে কেউ যায়নি। তবে শুক্রবার দুপুর ১১টায় নিজাপাট ইউনিয়নের পানিহারা হাটির মৃত হাসন আলীর ছেলে দুলাল আহমদের নির্দেশে এবং ফেরীঘাট গ্রামের মৃত ওয়াসির আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ফের জায়গাটি দখল করতে যান কয়েকজন। এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে বিদ্যুতের খূঁটির সাথে বেঁধে রাখে। এসময় তাদের কাছ থেকে বটি দা সহ ছোরা আটককরা হয়। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করা হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে এস.আই শাহেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ আটককৃতদের উদ্ধার করে। তারা হলেন, উপজেলার ফেরীঘাট গ্রামের মৃত ওয়াসির আলীর ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫৫), ঘিলাতৈল গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুল মুতলিব (৫৬), একই গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে সেলিম মিয়া (২৮), ও সুমন মিয়া (২৪) ।
এবিষয়ে আটক মুতলিব জানান- নিজপাট পানিহারা হাঁটি গ্রামের হাছন আলীর ছেলে দুলাল আহমদ কাজের জন্য তাদেরকে শহিদুলের মাধ্যমে ফেরীঘাটে নিয়ে যায়। শহিদের উস্থিতিতে কাজ শুরুর প্রক্কালে এলাকাবাসী আমাদেরকে আটক করে। মূলত আমরা কাজের জন্য আসি। দেশীয় অস্ত্র গুলো শহিদুলের।
শহিদুল বলেন- তাদেরকে তিনি কোন কাজে নিয়ে আসেননি। নিজেদের বাঁচাতে তারা আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি শশুরবাড়ী হতে বটি দা নিয়ে জৈন্তাপুরে যাওয়ার প্রক্কালে এলাকাবাসী আমাকে আটক করে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির বলেন- আটকের বিষয়টি জানতে পেরে আইন শৃংঙ্খলার অবনতি না ঘটার জন্য আমি ফৌর্স পাঠিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করি। এ ব্যপারে কেউ অভিযোগ করেনি। করলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আটককৃতরা থানা হেফাজতে রয়েছে।